অবশ্য সোমবার আদালতে ধোপে টিকল না সিবিআইয়ের প্রভাবশালী তত্ত্ব। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, নরক মামলায় যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই চার জনই প্রভাবশালী। তাঁরা বাইরে থাকলে প্রয়োজনীয় নথি, প্রমাণ বা সাক্ষ্যকে প্রভাবিত করতে পারেন। ধৃত চার জনের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত চেয়ে ছিলেন সিবিআই (CBI)। আইনজ্ঞ মহল বলছে, চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে। ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে অর্থ তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। তাহলে এদের কেন হেফাজতের রাখতে চাইছি সিবিআই উঠছিল প্রশ্ন। কিন্তু সিবিআইয়ের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
এদিন শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের আইনজীবীর দাবি ছিল, যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বয়স ৫০-৬০ বছর। ফলে কোভিড পরিস্থিতিতে তাদের জেলবন্দি রাখা উচিত নয়। উপরন্তু রাজ্য সরকার কোভিড মোকাবিলার যুদ্ধে নেমেছে তার অন্যতম সেনাপতি ফিরহাদ হাকিম। বাকি গ্রেফতার করলে সেই যুদ্ধ ধাক্কা খাবে। এদিন রাজ্যের আবেদনে সীলমোহর দিল আদালত।
সরকারি তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,"নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল কোভিড পরিস্থিতি অকারণে গ্রেপ্তার করা চলবে না। অকারনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতে সুবিচার মিলল।
সোমবার সকাল থেকে নারদ কান্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য রাজনীতি। এদিন সাতসকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এক বিধায়ক সহ আর এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ৪ হেভিওয়েটের বাড়িতে হাজির হন সিবিআই আধিকারিক। তুলে আনা হয় নিজাম প্যালেসে।পরে ১১টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়ে দেয়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাদের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলে শুনানি। প্রায় দেড় ঘণ্টা শুনানির পর আবার বেশ কিছু নতুন স্বচক্ষে দেখতে চান বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। মুখে নিয়ে তার চেম্বারে হাজির হন আধিকারিকরা। সেই নথি পরীক্ষার পর রায় দেন বিচারক।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান নিজাম প্যালেস। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন ও নিজাম প্লেসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুনানি শেষে সেখান থেকে সোজা নবন্য রওনা দেন তিনি। শেষমেষ সন্ধ্যায় তার দলের ঘনিষ্ঠ তিন বিধায়ককে ঘরে ফেরাতে পারলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন